, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা'র কার্যক্রম শুরু আনুষ্ঠানিকভাবে

  • আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৩ ০৪:৫৩:৩০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৩ ০৪:৫৩:৩০ অপরাহ্ন
আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা'র কার্যক্রম শুরু আনুষ্ঠানিকভাবে
মোঃ সাইমুন ইসলাম কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) থেকে: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের জন্য শুরু হচ্ছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা'র কার্যক্রম। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটির কমিশনিং (উদ্বোধন)করবেন। এসময় ৪ টি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন ও ৪ টি যুদ্ধ জাহাজের কমিশনিং করা হবে। ইতিমধ্যে বানৌজা শের-ই-বাংলা কর্তৃপক্ষ শেষ করেছে কমিশনিংয়ের সকল কার্যক্রম।

বানৌজা শের-ই-বাংলা প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সম্প্রতি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ‘প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেখানে মোট ১ হাজার ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌঘাঁটি বানৌজা শের-ই বাংলা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ  বাস্তবায়ন করা হয়েছে।২০২০-২১ অর্থবছরে প্রকল্পটির বরাদ্দ রয়েছে ৭০ কোটি টাকা, দুই কিস্তিতে ভাগ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা।

পায়রা সুমদ্রবন্দরসহ গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং ট্রলার ও বোট এবং ব্লু-ইকোনমি সংক্রান্ত অন্যান্য মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানের জন্য ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা পটুয়াখালী স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এটি বাংলাদেশের তথা সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পটুয়াখালীর রবনাবাদে এশিয়ার বৃহত্তম নৌ ঘাটি টি নির্মাণ করছে।

এখানে থাকবে সুপার সাবমেরিন ঘাঁটি, থাকবে বিমান ওঠানামার সুবিধা এবং এয়ার স্ট্রিপ, হ্যাঙ্গার এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্লকগুলির জন্য বায়িং সুবিধা সরবরাহ করা হবে। যাতে বঙ্গোপসাগরে সারা বছর নিজেদের ঘন ঘন উপস্থিতি রাখতে পারে।

প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিলো , অনুমোদিত ডিজাইন/নকশা অনুসারে কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থের শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।
খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন গুলো হলো শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ, শহীদ আখতার উদ্দিন। আর ৪ টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) হলো বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইন। প্রধানমন্ত্রীর কমিশনিংয়ের পর এসব জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে। নৌ-বহরে এসব জাহাজ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নাম ফলক উন্মোচন করেন।
 
সর্বশেষ সংবাদ